চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হেরেছে ইংলিশরা। তাই বলাই যায়, চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে বৃষ্টি।

আইকনিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে ১৯.২ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ১৫৭ উইকেটে রান সংগ্রহ করেছিল আয়ারল্যান্ড। জবাবে বৃষ্টির ফলে ম্যাচ থামার আগে ইংল্যান্ড ১৪.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান সংগ্রহ করে। ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে নির্ধারিত ওভারে ইংল্যান্ডকে অন্তত ১১০ রান করতে হতো।

বৃষ্টির ফলে কাট অফ টাইম শেষ হয়ে যাওয়ায় আয়ারল্যান্ডকে ৫ রানে বিজয়ী ঘোষণা করে ম্যাচ অফিসিয়ালরা। ইংল্যান্ডের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই ফেরেন জস বাটলার। জস লিটলের বলে ৭ রান করে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস। বেন স্টোকসও ৬ রানের বেশি করতে পারেননি।

এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৮ রান যোগ করেন ডেভিড মালান ও হ্যারি ব্রুক। তবে ডকরেলের বলে ১৮ রানে ব্রুক ও ম্যাকার্থির বলে ৩৫ রান করা মালান ফিরলে বেশ বড় চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র আট বলে ১৯ রান যোগ করেন মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন। তবে ডি/এল মেথডের হিসেবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে ৫ রান দূরে থাকতে বেরসিক বৃষ্টি আসায় খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। ফলে ৫ রানের জয়ে মাঠ ছাড়ে আয়ারল্যান্ড।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। আজ মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর টি-২০তে দ্বিতীয়বারের মত লড়াই করতে নামে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। আইরিশদের ইনিংসের শুরুতে বৃষ্টি বাঁধায় দুইবার খেলা সাময়িক বন্ধ থাকে। এরপর খেলা শুরু হলে পল স্টার্লিংকে ফেরান মার্ক উড। ১৪ রানে এই ওপেনার ফেরার পর বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি ও লরকান টাকার।

দুজনের জুটিতে ম্যাচের লাগাম যখন আইরিশদের হাতে, তখনই ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে আসেন আদিল রশিদ। তার নৈপুণ্যে রান আউট হওয়ার আগে ৩৪ রান করেন টাকার। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন হ্যারি টেক্টর।

দারুণ সব শটে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন বালবির্নি। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে লিভিংস্টোনের শিকার হন তিনি। অ্যালেক্স হেলসের তালুবন্দী হওয়ার আগে আইরিশ অধিনায়ক খেলেন ৬২ রানের ইনিংস।

শেষদিকে আর কেউই বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলের মাঝে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন কার্টিস ক্যাম্পফার। ইংল্যান্ডের হয়ে মার্ক উড ও লিয়াম লিভিংস্টোন তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।